বিদেশে রফতানিতে হলে মফস্বলের চামড়া ব্যবসায়ীদের দিন ঘুরে দাঁড়াবে। সেই সঙ্গে ট্যানারি মালিকদের পাশাপাশি প্রথম পর্যায়ের সংগ্রহকারী অর্থাৎ চামড়ার আড়তদারদের প্রতিও সরকারের সু-দৃষ্টি কামানা করেছেন কেউ কেউ।

এক্ষেত্রে কেউ সরকারি আর্থিক সহায়তার কথা বলছেন, আবার কেউ কেউ সরকারিভাবে দেশে ট্যানারি পরিচালনার দাবির কথাও জানিয়েছেন। চামড়ার আড়তদার মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, বাংলাদেশের পশু বিশেষ করে গরুর চামড়া অনেক উন্নত মানের। পৃথিবীর কোথাও এমনটা নেই। তারপরও আমাদের চামড়া নিয়ে কতো সমস্যা। তিনি বলেন, মূলত ট্যানারি মালিকদের মতো আমাদেরও আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন। কিন্তু আমরা লোন পাই না। আমরা আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকলে ভালো মানের চামড়া গোটা দেশ থেকেই সংগ্রহ সম্ভব। বলা হচ্ছে ঢাকার চামড়ার মান ভালো কিন্তু মনে রাখা উচিত ঢাকায় গরুগুলো আমাদের দেশের কোনো না কোনো জায়গা থেকে যাচেছ।

তবে সত্যি যে ঢাকায় বড় পশুর চাহিদা বেশি, কিন্তু আমাদের এখানে মাঝারি ও ছোট পশুর চাহিদা বেশি। তাই আমাদের এখানে চামড়া ঢাকার থেকে ছোট। তবে মান খারাপ না। তিনি বলেন, সরকারিভাবেও এখন ট্যানারিও প্রয়োজন। যেখানে আমরা নিয়মিত সংগ্রহ করা পশুর চামড়া পাঠাতে পারবো। এদিকে আব্দুল জলিল নামে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকারি উদ্যোগে বিদেশে চামড়া রপ্তানি শুরু হলে গোটা ব্যবসার ধরণ পাল্টে যাবে।

সেই সঙ্গে আমাদের বর্তমান দিও ঘুরে যাবে। টাকার জন্য বাকিতে চামড়া সংগ্রহ করতে হবে না। যদিও কিছু ব্যবসায়ী বলছেন, বিদেশে রফতানি শুরু হলেও এর সুবিধা ট্যানারি মালিকরা নেবেন, মফস্বল পর্যায়ের আড়তদাররা সংকটের মাঝেই থাকবেন। আর তা নিরসনে সরকারের যুগোপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রয়োজন। এদিকে বিকেলে চামড়ার আড়তগুলো ঘুরে দেখেছেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর কর্মকর্তারা।